জানুয়ারি ২৭, ২০২২
ইউনিয়ন পরিষদের সামনে অস্থায়ী কার্যালয় নির্মাণ করে দায়িত্ব পালন করছেন কালিগঞ্জের মথুরেশপুরের চেয়ারম্যান!
নিজস্ব প্রতিনিধি: নির্ধারিত সময়ে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেননি মথুরেশপুর ইউপি’র বিদায়ি চেয়ারম্যান। ইউনিয়ন পরিষদের কক্ষগুলো অপরিচ্ছন্নতার কারণে ব্যবহার অনুপযোগী। তাই বাধ্য হয়ে ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন চত্বরে কাপড় দিয়ে অস্থায়ী কার্যালয় তৈরী করে ইউপি সদস্যদের নিয়ে জনগণের সেবা প্রদান করছেন নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিম। এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিন গেলে ইউপি চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিম জানান, গত ২৫ জানুয়ারি শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে দায়িত্ব পালন শুরু করেছি। গতকাল ইউনিয়ন পরিষদে এসে দেখি এখানকার পরিবেশ নোংরা, অপরিচ্ছন্ন ও ব্যবহার অনুপযোগী। এজন্য বাধ্য হয়ে মেম্বরদের নিয়ে বাইরে অস্থায়ী কার্যালয় তৈরী করে দায়িত্ব পালন করছি, জনগণকে প্রয়োজনীয় সেবা দিচ্ছি। পরিষদের জিনিসপত্র এলোমেলো অবস্থায় আছে। বৈদ্যুতিক বাল্ব খুলে নেয়া হয়েছে। পরিষদ চত্বরের সোলারবাতির পোস্ট উধাও। ওয়াশরুম নোংরা। সেখান থেকেও খুলে নেয়া হয়েছে বেসিন ও আয়না।
সচিব নাসরিন আক্তার বলেছিলেন বৃহস্পতিবার বিদায়ী চেয়ারম্যান নিজে উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন এবং পরিষদের কাগজপত্র ও জিনিসপত্র বুঝিয়ে দিবেন। কিন্তু বেলা ২ টা পর্যন্ত তিনি আসেন নি। তাছাড়া সাবেক চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরবিহীন একটি তালিকা দেখাচ্ছেন সেখানেও অনেক আসবাবপত্র ও গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র নেই যা ছিল বলে ইতোমধ্যে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি। তিনি আরও বলেন, সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গাইনের বিরুদ্ধে তিনি ইতিপূর্বে আর্থিক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ করেছিলেন যা তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। এঘটনায় মাননীয় জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা মোতাবেক তার বিরুদ্ধে ইউপি সচিব মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাছাড়া কিছুদিন আগে ইউনিয়ন পরিষদ ভবন মেরামতে এলজিএসপি’র বরাদ্ধের প্রচুর অর্থ লুটপাট করা হয়েছে। বিষয়গুলো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সার্বিক বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক এটাই আমার দাবি। দফাদার ও
এব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপি সচিব নাসরিন আক্তার বলেন, বর্তমানে যেসব কাগজপত্র ও সরঞ্জামাদি আছে সেগুলোর একটি তালিকা তৈরী করেছি। আজ সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সাহেব এসে তালিকায় স্বাক্ষর করবেন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন বলে জানিয়েছিলেন কিন্তু আসেননি। এখন তার ব্যবহৃত তিনটি মোবাইল নাম্বার বন্ধ পাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বর শহিদুল ইসলাম বদরুল সাহেব একটা হ্যান্ডমাইক ও একটি ভাঙাচোরা আলমারি এবং ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বর শেখ আলাউদ্দীন সোহেল একটা হ্যান্ডমাইক ও একটা রেইনকোর্ট (শুধু প্যান্ট) ফেরত দিয়ে গেছেন। অন্যগুলোর বিষয়ে আমি জানি না। 8,615,673 total views, 7,330 views today |
|
|
|